সিরিজ হেরে যেন মিরপুর চিনলেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করে ঝড়ো ব্যাটিং করেছে পাকিস্তান। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে নতুন বলে পাওয়া শুরু কাজে লাগিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করেছে তারা। রান পেয়েছেন দলটির চার ব্যাটার।
দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরের কন্ডিশনে নতুন বলে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। বৃহস্পতিবার ওই শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নতুন বলে ঝড়ো ব্যাটিং করে পাকিস্তান। সাঈম আইয়ূব ও শাহিবজাদা ফারহান ওপেনিংয়ে ৮২ রান যোগ করেন। একাদশে ঢোকা বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ১৫ বলে ২১ রান করা সাঈমকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন।
এরপর শাহিবজাদাকেও সাজঘরে পাঠান নাসুম। ততক্ষণে ফখর জামানের জায়গায় একাদশে ঢোকা ব্যাটার ৪১ বলে খেলেছেন দলের পক্ষে সর্বাধিক ৬৩ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার শট আসে। তিনি ১১.১ ওভারে ৯৩ রানে আউট হন।
ওই ভিত্তির ওপর দাড়িয়েই মূলত বড় সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান। তবে শেষ দিকে রান তুলতে কিছুটা কষ্টই হয়েছে তাদের। নতুবা রানটা দুইশ’ ছোঁয়াই হতে পারত। পাকিস্তানের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন হাসান নওয়াজ। চারে নেমে তিনি ১৭ বলে ৩৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে এক চার ও তিনটি ছক্কা আসে।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মোহাম্মদ নওয়াজও ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন। স্লটে রান বাড়িয়ে নেওয়া এই ব্যাটার ১৬ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন।
বল হাতে কেবল নাসুম আহমেদ নির্ভার ছিলেন। তিনি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। নতুন বলে রান আটকাতে ও উইকেট নিতে ব্যর্থ হওয়া পেসার তাসকিন আহমেদ স্লগে ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ বোলিং করা শরিফুল এদিন ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। স্পিনার শেখ মেহেদি সুবিধা করতে পারেননি। তিনি ৩ ওভারে ৩৬ রান খেয়েছেন। মিরাচ এক ওভারে দিয়েছেন ১৪ রান। সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেন নেন।
খুলনা গেজেট/এএজে